নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলায় রিক্সাচালক আব্দুর রাজ্জাককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা নিয়েছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। আব্দুর রাজ্জাককে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ৭ আগস্ট সোমবার রাতে ডেকে নিয়ে পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে সে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জামতলা এলাকার মাহমুদুর রহমান রুপু ও প্রহরী মহিউদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে রাজ্জাক উল্লেখ করেন, আমি স্বপরিবারে জামতলা এলাকায় বসবাস করে রিকশাা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। ৬৭/৩ নিউ চাষাঢ়া জামতলা এলাকার আব্দুর রহিমের বাড়ির প্রহরী মহিউদ্দিন দুই মাস পূর্বে আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা লোন নেয়। গত ৩ আগস্ট অনুমান রাত সাড়ে ১০টায় মহিউদ্দিন আমাকে ডেকে আনে এবং আমি তার কাছে কোন টাকা পাবো জানায়। আমি তখন প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মেরে নীলাফুলা জখম করে। পরে আবদুর রহিমের ছেলে বিবাদী মাহমুদুর রহমান রুপু অন্য আরো ২ থেকে ৩জন বিবাদীর সহযোগিতায় আমাকে মহিউদ্দিন, টানা হেছড়া বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে হত্যার উদ্দেশ্যে দুটি পালিত কুকুরের খাচার ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। ফলে কুকুর ২টি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থান কামড়ে ও আচরে ক্ষতবিক্ষত গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আহতাবস্থায় আমার পরিবার তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।
এদিকে ঘটনার পরপরই একটি প্রভাবশালী মহলের হুমকির কারণে রিকশাচালক আব্দুর রাজ্জাক ভীত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হবার পর গত ৫ আগষ্ট প্রভাবশালী মহলটি হত্যা চেষ্টাকারী মাহবুবুর রহমান রুপুকে দিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে রাজ্জাককে চোর আখ্যা দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে চুরি অভিযোগে আবেদন করে।
ফতুল্লা থানা পুলিশ কুকুরের কামড়ে আহত রাজ্জাককে থানায় এসে মামলা দিতে বললেও অসুস্থতা ও নিরাপত্তাহীনতার আশংকায় সে মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকে। পরে পুলিশ নিজ উদ্যোগে আহত আব্দুর রাজ্জাককে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে থানা ডেকে নেয়। এসময় রাজ্জাক ও তার স্ত্রী শেফালীকে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের বলেন পুলিশ তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে। এ আশ্বাসের ভিত্তিতে রাজ্জাক অবশেষে মামলা দায়ের করতে রাজি হন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।